“জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য” এই ভিশনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পূরণে কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে হোটেল-রেস্তোঁরার খাদ্যকর্মীদের নিয়ে নিরাপদ ৩য় পর্যায়ে খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ-২০২২ আয়োজন করা হয়।
উক্ত প্রশিক্ষণে সিলেট জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব সৈয়দ সারফরাজ হোসেন, রমযান এর জনসচেতনতামূলক তথ্যবহুল পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে রমযানের সঠিক ইফতার তৈরী, পরিবেশন ও বিক্রয়, ইফতার তৈরীতে সচেতনতা অবলম্বন, হাতে গ্লাবস ও মাথায় এপ্রোন পরিধান, মশা মাছি খাবার থেকে প্রতিরোধের নিয়ম কানুন, পেয়াজু, চপ, বেগুনি ও জিলাপিতে ব্যবহ্রত কেমিক্যাল ও খাবার রং মিশ্রণ থেকে বিরত থাকা এবং এগুলার মানবদেহের কি ক্ষতি ঘটাতে পারে সেই সম্পর্কে অবহিতকরণ, খাদ্য নিরাপদতা, খাদ্য নিরাপদতার প্রয়োজনীয়তা, অনিরাপদ খাদ্যের ভয়াবহতা, খাদ্য দূষণের কারণ, খাদ্যস্থাপনায় অবস্থান ও খাদ্য প্রস্তুতকরণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং পরিবেশনের সময় করণীয় বিষয়সমূহ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় করণীয় ও বর্জনীয়, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির অনুশীলন, নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এ বর্ণীত অপতাধ ও দন্ড, নিরাপদ খাদ্যের পাচঁটি চাবিকাটি- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখা, সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করা, সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা এবং নিরাপদ পানি ও খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করা নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
উক্ত প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আমিরুল ইসলাম মাসুদ, সহকারী পরিচালক, জাতীয় ভোক্তা ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিলেট। তিনি খাদ্যকর্মীদের মাঝে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা ও খাদ্য এবং ভোক্তার সচেতনতা বিষয়ে আলোকপাত করেন। এবং সবাইকে নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত ইফতার বিক্রয় করতে আহবান জানান ও সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ প্রদান করেন।
খাদ্য ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এ ধরণের প্রশিক্ষণ আয়োজনকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য অনুরোধ করেন।
প্রশিক্ষণ শেষে খাদ্যকর্মীদের মাঝে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ সম্পর্কিত পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট, নাস্তা ও কোভিড-১৯ এর সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস