“জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য” এই ভিশনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এর সহায়তায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক কর্মসূচী আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আব্দুন নাসের খান, সচিব, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মঞ্জুর কাদির শাফি, উপজেলা চেয়াম্যান, গোলাপগঞ্জ এবং সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জনাব মৌসুমী মান্নান,উপজেলা নির্বাহি অফিসার, গোলাপগঞ্জ, সিলেট।
স্বাগত বক্তব্যের পর সচিব মহোদয় তাঁর পিপিটির মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের মৌলিক ধারণা উপস্থাপন করেন। অনেকেই নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করে যা সেশনটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে। নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে মিডিয়ায় প্রচারিত বিভিন্ন নাটিকা, গান ও এড প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শিত হলে জনপ্রতিনিধিরা তাদের পূর্বের বদ্ধমূল ধারণা নতুনভাবে অভিযোজিত পরিবর্তিত হয়েছে বলে মতামত প্রদান করে।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি এখন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের সময় এসেছে। অসুস্থ জাতির হাল ধরতে পারে না তাই অবশ্যই খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিত করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন তৃণমূল পর্যায় থেকে খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরীসিম। তাছাড়া মেধার বিকাশে পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা, ৪র্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলা, নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক নানান কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিজ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম সুনিপুণ বাচনভঙ্গির উৎকর্ষ ভাষণে উপস্থাপন করেন।
মুক্ত আলোচনাঃ
উপস্থিত কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যানবৃন্দ সকলের অংশগ্রহণে মুক্ত আলোচনার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উক্ত আলোচনায় উপস্থাপিত কিছু পয়েন্ট নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ
১। পৌর শহরে পোড়া তেলের ব্যবহার নিষিদ্ধে মনিটরিং বাড়ানোর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
২। সঠিক সময়ে বীজ ও সার পাওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া হয়।
৩। চা উৎপাদন ব্যাবস্থায় মনিটরিং বৃদ্ধির প্রস্তাবনা ও শাকসবজি ধোয়ার পানির ব্যবহারে কোন প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় কিনা-তা লক্ষ্য করার অনুরোধ করা হয়।
৪। উঠান বৈঠকে সঠিকভাবে রান্না করে কিভাবে পুষ্টিগুণাগুণ বজায় রাখা যায় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজন উল্লেখ করা হয়। কৃষিকাজে প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
৫। মেয়াদউত্তীর্ণ পন্য বাজার থেকে সরানোর জন্য মোবাইল কোর্ট বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
৬। শিশু খাদ্যে অনুমোদিত ফুড কালার ব্যাবহারের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
৭। মনিটরিং বৃদ্ধির জন্য সরকারি দপ্তরে জনবল বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
৮। মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বৃদ্ধির পরামর্শ প্রদান করা হয়।
৯। মসলা তৈরীতে যাতে ভেজাল ব্যাবহার করা না হয় তা লক্ষ্য করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সভাপতি জনাব মৌসুমী মান্নান নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যা যা করা প্রয়োজন সে বিষয়ে সহযোগিতা করবেন বলে উল্লেখ করেন। নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও নাতিদীর্ঘ শ্রুতিমধুর ভাষণ দেন এবং পরিশেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস